ক্রিস গেইলের ব্যাট

ক্রিস গেইলের ব্যাট
দেবব্রত মুখোপাধ্যায়

 

বয়ড়া শফিক ছিল আমাদের দলের জন্য একটা উৎপাত।

ব্যাট করতে পারতো না ভালো। বল তো করতেই পারতো না। সাত আট নম্বরে ব্যাট করতে দেওয়া হতো। কোনোক্রমে দুই তিনটে বল ব্যাটে লাগিয়েই আউট হয়ে যেতো। এরপর সারাটা খেলা মাঠের এক কোণায় ফিল্ডিং করতো। দু-একটা বল ওর দিকে গেলে ল্যাগ ব্যাগ করে সেগুলো ছেড়ে দিতো।
তারপরও ওকে খেলায় নেওয়া লাগতো।
না নিয়ে উপায় নেই। আমরা যে মাঠে খেলতাম, তার অর্ধেক জায়গা ওর বাপের; বাকি স্কুলের মাঠ। ওকে খেলতে না নিলে শফিকের বাপ মাঠ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিতো।
গুণধর শফিক আবার কানে শুনতো না ঠিকমতো। দশ বার ডাকলে একবার ‘হ্যাঁ’ বলতো। কানে খাটো আর কী। আমরা তাই অসাক্ষাতে বয়ড়া শফিক বলে ডাকতাম।
তবে শফিকের গুণ ছিল। শুধু মাঠের জায়গাটা ম্যানেজ করে দিয়েছিল, তাই না। বাপকে বলে আমাদের টিমের জন্য ব্যাট-বলের বন্দোবস্তও করতো। শফিকের নিজের অবশ্য আলাদা ব্যাট ছিল। এটা তো কাউকে দিতো না। একটা নয়; ওর বাসায় বেশ কয়েকটা ব্যাট ছিল।
ওর বাপ শুধু ব্যাট-বলের টাকা দিতো, তা না। সেবার প্র্যাকটিসের জন্য এক গাদা নেট কেনার টাকাও দিলো ওর বাপ। এমন ছেলেকে দলে না রেখে পারা যায়!
কিন্তু শফিক হঠাৎ বদলে গেলো।
সেবার আমাদের সাথে কাঁঠালতলা দলের খেলা। কাঁঠালতলার সাথে আমাদের জেতার প্রশ্ন আসে না। ওরা প্রায় বছর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়। আর আমরা সেই টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ডেই বাদ পড়ি। তারপরও কাঁঠাল তলার দল আমাদের সাথে বছরে ৪-৫টা ম্যাচ জেতে। আমাদের হারায়ে হারায়ে হাত পাকায়।
এই ম্যাচে আমাদের হারানোর কিছু ছিল না। তারপরও ৩ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যায় না। এখন যে যাবে, সেই আউট হবে। ক্যাপ্টেন আসাদ ভাই তাই বলল, ‘শফিক যাক।’
শফিক মহা উৎসাহে ব্যাট নিয়ে নাচতে নাচতে চলে গেলো। প্রথম বলটা ওর কানের কাছ থেকে চলে গেলো। বাবলু আগুনের গোলা ছুড়ছিল যেনো। আমরা হাসছিলাম-পরের বলেই নির্ঘাত আউট হবে শফিক।
কিন্তু তাজ্জব কাণ্ড। পরের বলে চার মেরে দিলো আমাদের শফিক!
অবশ্য আমার ধারণা হলো, ইচ্ছে করে মারেনি। আন্দাজে ব্যাট ঘুরিয়েছে; লেগে গেছে। কিন্তু পরের বলে আরও অবাক কাণ্ড। ওই ফাস্ট বলে দুই পা এগিয়ে এসে বাবলুর মাথার ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে দিলো বয়ড়া শফিক।
তারপর যা হলো, তাতে কাঁঠালতলার টিম তো বটেই, আমরাও তাজ্জব। শফিক এমন করবে, এটা কেউ কল্পনাও করেনি। ২২ বলে ৬৩ রান করে ফেলল।
তারপরও আমরা জিততে পারলাম না। ওরা মেরে কেটে জিতে গেলো। কিন্তু এই দিনটা তো হার জিত দিয়ে বোঝা যাবে না। যে শফিক জীবনে ১০ রান করতে পারলো না; সে কেমন করে হঠাৎ এমন ধুন্ধুমার ব্যাটসম্যান হয়ে উঠল। খেলা শেষে আমরা সবাই শফিককে চেপে ধরলাম, ‘কী রে শফিক। এমন ব্যাটিং করছিস কী করে?’
শফিক শুধু হাসে। বুঝলাম ও শুনতে পাচ্ছে না। ধরে ঝাকুনি দিয়ে আমি চিৎকার করে বললাম, ‘কী হয়েছে তোর?’
শফিক আরও হাসে, ‘কিছু না। হয়ে গেলো আর কী!’
হয়ে গেলো বললেই হলো! এর পেছনে নিশ্চয়ই একটা কিন্তু আছে। সবাই মিলে শফিককে জেরবার করে ফেললাম। না পেরে শফিক বলল, ‘মামা ব্যাটিং শিখালো। মামা বাড়ি গেছিলাম না। ওখানে প্র্যাকটিস করেছি মামার সাথে।’
এটা অবশ্য একেবারে খারাপ কথা না। শফিকের মামা খুলনায় লিগ খেলতো। বড় ব্যাটসম্যান ছিল। তার সাথে মাস খানেক থেকে একটু উন্নতি হতে পারে। তাই বলে, রাতারাতি ওয়ালশের মতো ব্যাটিং করা শফিক ভিভ রিচার্ডস হয়ে যাবে!
এটা মানা গেলো না।
তারপরও আমাদের তখন করার কিছু ছিল না। এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে পারছিলাম না। আসাদ ভাই শুধু বলল, ‘ওর ওপর ভূত ভর করেছিল বলে মনে হয়।’
কাঁঠালতলার সাথে আমাদের পরের ম্যাচে এই ভূতের পরীক্ষা করার জন্য শফিককে তিন নম্বরে পাঠাবে বলে ঠিক করলো। এটা বাড়াবাড়ি হয়ে যায়। তাই আমি আপত্তি করলাম, ‘তিন নম্বরে গিয়ে এলেবেলে ব্যাটিং করে আসবে। পরে পুরো টিম বিপদে পড়বে।’
‘আরেহ না। ভালোও তো করতে পারে। ওই দিনের মতো।’
‘আপনি না আসাদ ভাই! রোজ কী আর ঝড়ে বক মরে?’
‘আচ্ছা। যা হয় হবে। একটা ম্যাচ দেখি।’
আসাদ ভাই যেনো আমাদের মুখে ঝামা ঘসে দিলো। ম্যাচশেষে আমাকে ¯্রফে বলল, ‘কাল থেকে তুই শফিকের পা ধোয়া পানি খাস।’
আমার আর কথা বলার মুখ নেই। বলবো কী!
সেই শফিক, সেই বয়ড়া শফিক সেঞ্চুরি মেরে দিলো। তাও ৫৬ বল খেলে ১১৪ রান করলো। আর কী ভয়ানক কথা। শফিকের এই ইনিংসে ভর করে আমরা বোধহয় ২৩ বছর পর কাঁঠালতলার বিপক্ষে একটা ম্যাচ জিতলাম। আমি তিন নম্বর ছেড়ে চার নম্বরে ব্যাট করতে গিয়ে ৫ বলে ৩ রান করে আউট। ফলে শফিককে নিয়ে যেমন সবার উল্লাস; তেমনই আমি জ্বলে পুড়ে যাচ্ছিলাম।
মাস কয়েকের মধ্যে আমাদের দলের চেহারা বদলে গেলো।
এই সময়ে আমরা কাঁঠালতলা দলকে তিনটে ম্যাচ হারালাম। এবারের উপজেলা চ্যাম্পিয়ন
শ্রীরামপুরকে ওদের মাঠে গিয়ে হারায়ে আসলাম। এর বাইরে আরও দুটো ম্যাচ জিতলাম।
এখন সবাই শফিকের ব্যাটিংটাকে স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে। সে প্রতি ম্যাচে নেমে টেন্ডুলকারের মতো সেঞ্চুরি, ফিফটি করবে; এটা নিয়ম হয়ে গেছে। সবাই ধরে নিয়েছে, ওর কিছু একটা হয়েছে; ওর ওপর কিছু একটা ভর করেছে। তাই ও বদলে গেছে।
শফিকের মনে হচ্ছে ক্রিকেটে একটা ভবিষ্যতও হয়ে যেতে পারে।
শ্রীরামপুরের সাথে আমাদের যে ম্যাচটা হলো, সে সময় মাঠে এসেছিলেন কোচ মানিক ভাই। ওনার বাড়ি শ্রীরামপুরেই; থাকেন বাগেরহাট। শহরে ওনার একটা দল আছে-নবারুন সংঘ; ফার্স্ট ডিভিশনের দল। লোকে বলে মানিক ভাইয়ের পছন্দ হলে জেলা দলেও চান্স হয়ে যায়। সেই মানিক ভাইয়ের সামনে আরেকটা সেঞ্চুরি করে ফেলেছিল শফিক।
ম্যাচের পর আসাদ ভাই শফিককে বলল, ‘তুই ওই পাশে গিয়ে মানিক ভাইয়ের সাথে কথা বল। উনি তোকে খুঁজছেন।’
আমি কাছেই দাঁড়ানো ছিলাম। শরীরটা জ্বলছিল।
আমি কতোবার চেষ্টা করেছি মানিক ভাইয়ের চোখে পড়ার। আমাকে না দেখে এখন তিনি দুই দিনের শফিকের পেছনে ঘুরছেন।
শফিককে দেখেই বললেন, ‘বসো, বসো। তোমার ব্যাটিং তো দারুন।’
শফিক একটু লজ্জা পেয়ে গেলো। মাথা নিচু করে বসে রইলো। মানিক ভাই বললেন, ‘যদিও গ্রামার সেন্স খুব কম। কিন্তু ভালো মারতে পারো। তুমি এক কাজ করো। আমাদের ক্লাবের ট্রেনিংয়ে আসো একদিন।’
শফিক কথা দিয়ে দিলো। তার মানে, ওর এখন কপাল খুলে যাবে।
কপাল তো সবদিক দিয়েই খুলছে শালার। এবার উপজেলা টুর্নামেন্টে আমাদের দল জোর প্রস্তুতি নিয়ে নামছে। আসাদ ভাই কড়া অনুশীলন করাচ্ছে সবাইকে। শফিকই ভরসা। মাঝে মাঝে ট্রেনিং দেখলে মনে হয়, আমরা সবাই দুধভাত; শফিক মনে হয় একাই খেলে দেবে।
অবশ্য ঘটনাটা প্রায় তাই হলো।
প্রথম ম্যাচ পড়েছিল আমাদের খালের কুলের দলের সাথে। ওরা বেশি ভালো দল না। আগে ব্যাট করে ১২২-২৩ কী জানি রান করলো। শফিক এক পাশে ৫৭ রান করে ফেললো। বাকিটা তো প্রায় এমনিতেই হয়ে গেলো।
কোয়ার্টার ফাইনালে তরতর করে উঠে গেলাম আমরা। এই ম্যাচে শফিক একটু খারাপ করলো। ৪৩ রান করে রানআউট হয়ে গেলো। আমরা হারতে হারতে জিতলাম। অনেকদিন পর আমি একটা ফিফটি করলাম। ম্যাচশেষে শফিক এসে বলল, ‘তুই কী আমার ওপর রাগ? রাগ করিস না দোস্ত।’
‘রাগ হবো কেনো?’
‘নাহ। আগে দলে সবাই তোরে বেশি দাম দিতো।’
‘আমার দামের দরকার নেই।’
শফিক মাথা নিচু করে বলে, ‘দ্যাখ, আমি আগের শফিকই আছি। কেমন করে রান করি, জানি না। তুই আমার ওপর রাগ রাখিস না।’
একটু মনটা নরম হলো। সেমিফাইনালে আবার শফিক সেঞ্চুরি করলো। কচুয়া দলের বিপক্ষেই খেলা ছিল। ওরা আগে ব্যাট করে ২৪৩ রান করলো। শফিক ভালোই শুরু করেছিল। আমি আর শফিক লম্বা একটু জুটি করবো বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু একটা ভেজাল প্রায় হতে যাচ্ছিল। জোর এলবিডব্লুর আবেদন হলো।
আম্পায়ার কিছু বলার আগেই আমি চিৎকার করলাম, ‘ব্যাটে লাগছে। শব্দ হইছে।’
আম্পায়ার একবার শফিক, একবার আমার দিকে চেয়ে চুপ করে থাকলো। কচুয়ার ওরা খুব চিল্লাপাল্লা করলো। কাজের কাজ হলো না। শফিক ৮৩ রানের ইনিংস খেললো; আমিও ৫৬ করলাম। আর আগো পায় কে। আমরা ফাইনালে। কাঁঠালতলার সাথে খেলা।
আমরা এবার মোটামুটি নিশ্চিত যে, আমাদের ইতিহাসের প্রথম ট্রফি আসবে গ্রামে।
এতোদিন আমাদের ক্রিকেট দলটাকে নিয়ে কোনোরকম সাড়া শব্দ ছিল না। এক শফিকের বাপ ছাড়া আর কেউ আমাদের কথা ভাবতোও না। এবার গ্রামে মেম্বর আমাদের নিয়ে রীতিমতো মিটিং করলো। বলল, সবাইকে পাঁচ শ টাকা করে হাত খরচ দেবে। আর শফিকের বাপ বলল, চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে সবাইকে মোরগ পোলাও খাওয়াবে।

আগের দিন আমরা যখন প্র্যাকটিস করছি, তখনই গোলমালটা হলো।
শফিক তখন একটা নেটে নক করছিল। আমি প্যাড-ট্যাড পরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। ঠিক তখনই একটা মটর সাইকেলে মাঠের পাশে এসে দাঁড়ালো শফিকের মামা। আমি ওনাকে আগে থেকেই চিনতাম। দেখে সালাম দিয়ে বললাম, ‘মামা, কেমন আছেন?’
উনি আমাকে খুব পাত্তা না দিয়ে বললেন, ‘শফিক হারামী কই?’
শফিক আস্তে করে নেট থেকে বের হয়ে আসলো।
মামা বললেন, ‘ওই, তুই আমার ব্যাট নিয়ে আসছস ক্যান?’
শফিক চুপ করে রইলো। চোখ দুটো ওর হাতের ব্যাটের দিকে। মামা ওর চোখ অনুসরণ করে তাকিয়ে চিৎকার করে উঠে বললেন, ‘এই তো আমার ব্যাট। এটা নিয়ে আসছিস ক্যান?’
শফিক মিন মিন করে বলল, ‘আমি ভাবছি, আপনার এটা লাগে না।’
‘হ। তুই জানিস না, আমি এটা দিয়েই খেলি!’
শফিক কিছু বলার আগেই ছো মেরে ব্যাটটা কেড়ে নিলো মামা। শফিক বলল, ‘বাড়ি যাবেন না?’
‘না। আমার কাল খেলা আছে।’
তারপর বিড়বিড় করে বলল, ‘কতোদিন হয় আমি রান পাচ্ছি না। আর ব্যাটটা তুই নিয়ে আইছিস।’
আমি অবাক হয়ে বললাম, ‘এটা কী বিশেষ কোনো ব্যাট, মামা?’
মামা আমার দিকে চেয়ে একটু হেসে বলল, ‘এটা ক্রিস গেইলের ব্যাট। আমি এক জায়গা থেকে আনছি।’
শফিক মাথায় হাত দিয়ে নেটের পাশে বসে রইল। আমরাও গেইলের ব্যাটের শোকে মরণাপন্ন হয়ে পড়ে রইলাম।
ব্যাটের ব্যাপারটা কীভাবে যেনো রাষ্ট্র হয়ে গেলো।
ফাইনালের আগের দিন কাঁঠালতলার বাবলু ফোন করলো আমাকে, ‘আপনাগো খেলা তো শেষ।’
‘শেষ মানে?’
‘শফিকের সেই গেইলের ব্যাট তো নিয়ে গেছে। এখন ও খেলবে কী করে?’
আমি গলায় জোর করে শক্তি এনে বললাম, ‘শফিকের বাসায় কতো ব্যাট আছে জানিস?’
বললাম বটে। নিজেই আর শক্তি পাচ্ছিলাম না। আমি বুঝতে পারছিলাম যে, আমাদের জাদু শেষ হয়ে গেছে। শফিকের ব্যাটে আর কোনো জাদু নেই।
আমাদের বোলার, ফিল্ডার; কারো আর ফাইনালে মন ছিল না। হাতের কাছ থেকে বল গেলো, বুকের কাছ থেকে ক্যাচ পড়ল। কাঁঠালতলা আগে ব্যাট করে ২৮৩ রান করে ফেলল।
প্রথম দুই উইকেট আমরা দ্রুতই হারালাম। শফিক উইকেটে এসেই একটা বল ল্যাগ ব্যাগ করে সামলালো। বাবলু ওর মাথায় লাগালো পরের বল। আমি হেঁটে গিয়ে বললাম, ‘তুই যা পারিস, তাই খেল। ব্যাট নিয়ে ভাবিস না।’
শফিক শুনতে পেলো কি না, কে জানে; বয়ড়া মানুষ তো!
এক পাশে কোনোক্রমে পুতে রইলো। আমি কিছু রান করার চেষ্টা করলাম। একটা বল থার্ডম্যানে ঠেলে দিয়ে রান নিতে চাইছিলাম। কিন্তু শফিক যেনো কল শুনতেই পেলো না। নাকি, এই পাশে আসতে চাচ্ছিলো না!
শেষ মেশ দুজন প্রায় একসাথে ওই পাশে পৌছালাম। এক সেকেন্ডের কম সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি বের হয়ে আসলামÑএই ম্যাচ কেউ বের করতে পারলে সেটা শফিকই পারবে।
আসার সময় শফিক আমাকে বলল, ‘দোস্ত, তুই আমার জন্য আউট হলি।’
‘সে নিয়ে ভাবিস না। তুই পারলে নিজের খেলাটা খেল।’
সেটা বাবলুর ওভার ছিল। পরের বলটাই শফিকের মাথা সোজা মেরেছিল। আমি ভেবেছিলাম, গেছে। কিন্তু আরেকটা চমৎকার হয়ে গেলো। শফিক এক পায়ে ভর করে একেবারে সিনেমার মতো হুক করে দিলো-ছক্কা!
ব্যাস শুরু হয়ে গেলো চার ছক্কার বৃষ্টি।
ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই কোত্থেকে খবর পেয়ে শফিকের বাপ ব্যান্ড পার্টি নিয়ে হাজির হয়ে গেলো।
শফিক মাঠের পাশে বসে কাঁদছিল। আমি কাছে যেতে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘দোস্ত, আমার ব্যাটে এখনও জাদু আছে।’
আমি কী ভেবে বললাম, ‘জাদু ব্যাটে না, তোর ভিতরে।’

কোন মন্তব্য নেই: